Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আগামীকাল ৩১শে মার্চ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিস্তারিত

আগামীকাল ৩১শে মার্চ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে পর্যাপ্ত পরিমান, পুলিশ, বিজিবি, ও সেনাবাহিনী মোর্তায়েন করা হয়েছে।

 

আগামী ৩১ মার্চে গাইবান্ধার
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চরাঞ্চলের
২৩টি ভোট কেন্দ্র নিয়ে ভোটাররা উদ্বিগ্ন
হয়ে পড়েছেন। বিশেষত এসব কেন্দ্রের
সাথে উপজেলা হেড কোয়ার্টারের
যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব
পাশে অবস্থিত হওয়ায় অনেক চর এলাকায়
যানবাহন যাবার রাস্তা নেই।
কেন্দ্রগুলোতে যেতে হলে কখনো নৌকা কখনো পায়ে হেঁটে যেতে হয়।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায়
নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা এ অঞ্চলের
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক
আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু বকর সিদ্দিক
বলেছেন, ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন
করা হয়েছে। উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই।
চরাঞ্চলের ভোট কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তার
চাদরে ঢাকা থাকবে। পাশাপাশি চরাঞ্চলের
ওইসব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি থাকবে।
ফুলছড়ি উপজেলার মোট ৪৪টি ভোট কেন্দ্রের
মধ্যে ২৩টি চরাঞ্চলে অবস্থিত।
এগুলো হচ্ছে দক্ষিণ কাবিলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আংগারিদহ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
চরখোলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
বাজে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
ফুলছড়ি ২ং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
সরদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
দেলুয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
পশ্চিম জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, আলগার চর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, ডাকাতিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, চর চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, উত্তর চৌমোহন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর
হরিচন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কিশামতধলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
পাগলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
এরেন্ডাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর
কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কৃষ্ণমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম
খাটিয়ামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
চর খাটিয়ামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ও দক্ষিণ খাটিয়ামারি এবতেদায়ি মাদ্রাসা।
চরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায়
গিয়ে দেখা গেল, নির্বাচন নিয়ে উৎসবের
চিত্র। হাট বাজার এমনকি গাছে বাঁশেও
পোস্টার ঝুলছে। চায়ের
দোকানগুলো নির্বাচনীয় প্রচারণায় মুখর।
কিন্তু উৎসবের মধ্যে ভোটারদের
মধ্যে আতঙ্কের ছাপ। ভোট
সম্পর্কে জানতে চাইলে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের
জিগাবাড়ি গ্রামের ভোটার আব্দুল করিম (৪৫)
বলেন, উপজেলা হেড কোয়ার্টার থেকে এই
কেন্দ্রে আসতে আড়াই ঘন্টা নৌকায়
পারাপার হতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ
হবার সুযোগ নিয়ে অনেক প্রার্থীর লোকজন
ভোট কারচুপি করতে পারে। তাই সাধারণ
ভোটাররা ভোট প্রদান নিয়ে উদ্বিগ্ন
হয়ে পড়েছেন। ফজলুপুর ইউনিয়নের
কৃষ্ণমনি গ্রামের ব্যবসায়ি আসানুল্লাহ (৪৫)
বলেন, আমাগোর
এখানে আগে থাকি প্রোশাসোনের নোক
বেশি থাকোন দরকার। কারোণ
এখানে গন্ডগোল হলে প্রোশাসোনের নোক
আসতেই ম্যালা ক্ষতি হয়া যাবে। হামরা যেন
ভালোভাবে ভোট দিব্যার পাই। প্রশাসন
যানি সেই ববোসতা করে। এখানে চেয়ারম্যান
পদে নয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৯৮
হাজার ৬৪৫ জন।
চরাঞ্চলের
নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর
রহমান বলেন, চরের প্রতিটি কেন্দ্রে দশজন
আনসার ও দশজন পুলিশ,
প্রতিটি ইউনিয়নে একজন ম্যাজিস্ট্রেট,
তিনটি ইউনিয়নের জন্য একজন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
এবং একটি উপজেলার জন্য একজন অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব
প্রতিটি কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক টহল দিবে। শুধু
তাই নয়, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য
একটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
30/03/2014